ইরানের পরমাণু কর্মসূচি পশ্চিমা গোষ্ঠী ও বিশেষ করে ইসরায়েলকে উদ্বেগিত করে তুলেছে, কারণ তারা মনে করে এটি বৃহৎ হুমকি সৃষ্টি করতে পারে। ইরানকে চাপে রাখতে পশ্চিমা দেশগুলো নানা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে এবং ইসরায়েল বারবার তেহরানের পরমাণু স্থাপনায় হামলার হুমকি দিয়েছে। তবে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্মতি না থাকায় তেহরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েল সরাসরি কোনো হামলা চালাতে পারেনি।
এখন, বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইরানের পরমাণু স্থাপনায় হামলার পরিকল্পনা করছেন এবং প্রস্তুতিও নিতে শুরু করেছেন। মার্কিন সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওসের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে, বাইডেন প্রশাসন ইরানের পরমাণু স্থাপনায় হামলার ফলে তেহরানের প্রতিক্রিয়া কী হতে পারে তা নিয়ে আলোচনা করছে। বাইডেন মনে করছেন, ইরান পরমাণু অস্ত্র তৈরি করার দ্বারপ্রান্তে রয়েছে এবং এটি তার জন্য একটি বড় হুমকি। এজন্য, ইরান পরমাণু অস্ত্র হাতে পাওয়ার আগেই তাদের পরমাণু স্থাপনায় হামলা চালানো প্রয়োজন বলে মনে করছেন তিনি।
এদিকে, কাসেম সোলাইমানি হত্যার পঞ্চমবার্ষিকীতে, ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান যুক্তরাষ্ট্রকে পরাজিত করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। ২০২০ সালের ৩ জানুয়ারি মার্কিন ড্রোন হামলায় সোলাইমানি নিহত হন এবং ইরান এই হামলাকে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদ হিসেবে অভিহিত করেছে। পেজেশকিয়ান হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের দুর্বল দেশগুলোকে শোষণ করে নিজের আধিপত্য বজায় রেখেছে, কিন্তু ইরান তাদের পরাজিত করবে।
এদিকে, হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, বাইডেন প্রশাসন এখনও ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ গ্রহণের কোনো অনুমোদন দেয়নি, তবে ইরানের পরমাণু স্থাপনায় হামলার পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা চলছে।